ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আদিবাসী এক নারীকে চুল কেটে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম লিনা মানখিন। তিনি উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা গ্রামের বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাথরুম স্থাপনের বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী নিরঞ্জন আজীমের সঙ্গে লিনা মানখিনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নিরঞ্জন আজীম, বধনা চিরান, টুনটুন চিরানসহ প্রায় ১৫ জনের একটি দল লিনা মানখিনের ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করেন।
এ সময় লিনা মানখিনকে বাড়িতে একা পেয়ে মারধরসহ তার চুল কেঁটে দেওয়ার পর পানিতে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আহত লিনা যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে প্রতিপক্ষ নিরঞ্জন আজীমসহ অন্যরা বাথরুম থেকে নোংরা পানি এনে তার মুখে দেন।
পরে স্থানীয়রা আহত লিনাকে উদ্ধার করে দ্রুত ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় লিনা মানখিন বাদী হয়ে ধোবাউড়া থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আজ শনিবার সকালে তা নথিভুক্ত হয়।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আহত লিনা মানখিনকে হাসপাতালে দেখতে যাই। থানায় দাখিলকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
Leave a Reply